নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারে রাজি না হওয়ায় শ্রমিক নির্যতন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আটক-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ৯ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হোসেনাবাদে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির বিড়ি শ্রমিকদের নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারে বাধ্য করতে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বেশকিছু শ্রমিক ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৮ জুন) উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামে কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়কে শ্রমিক পুলিশের এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শ্রমিক নেতা আবুল কালামের অভিযোগ, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার রাসুল উদ্দিন পলাশ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসম্পূর্ন ব্যান্ডরোল ব্যবহার করতে শ্রমিকদের বাধ্য করে আসছিলো। ইতোপূর্বে যে সকল শ্রমিক ম্যানেজারের কথামতো অর্ধেক সাইজ ব্যান্ডরোল ব্যবহারে রাজি হননি তাদেরই কাজ থেকে বহিস্কার করেছে। এছাড়া যারা কাজ করছিলো তাদেরও কথামতো কাজ না করায় নির্যাতন চালানো হয় তাদের টর্চার সেলে।
দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামের আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে ব্যান্ডরোল জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে কাষ্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুষ্টিয়ার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সার্কেল-২ এর বি এম সাজ্জাদুল হক বলেন, 'আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে ব্যান্ডরোল জালিয়াতির সংবাদ আমরা পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে নমুন সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরিক্ষা নিরিক্ষা করে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক জাবীদ হাসান বলেন, 'রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জালিয়ে রাস্তা অবরোধ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এক পুলিশ সদস্য ইটের আঘাতে আহত হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার রাসুল উদ্দিন পলাশের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।