রৌমারীতে হাফিজিয়া মাদরাসা ছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫২ পিএম, ৪ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাফিজিয়া মাদরাসার হাবিবুল্লাহ (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলা শহরের রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক ওই শিক্ষার্থীকে অন্যত্র স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। উপজেলায় একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।
হাবিবুল্লাহ রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ক্যাম্প পাড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। তিনি রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত ৯টার দিকে লজিং বাড়িতে খাবার খেয়ে ফেরার পথে নিজ মাদরাসার কাছাকাছি গেলে দুর্বৃত্তরা হাবিবুল্লাকে কৌশলে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনে ডেকে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁকে। তাঁর আত্মচিৎকারে মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, সম্প্রতি এ উপজেলায় মা-ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা, এক যুবককে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী আল আমিন, সিহাব ও বায়েজিদ জানান, রাতে প্রস্রাব করতে গিয়ে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই। পরে ছুটে গিয়ে দেখি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে হাবিবুল্লাহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এ সময় হাবিবুল্লাহ নিজেকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে তাঁদেরকে (ছাত্রদের) জানান, ‘তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর গলায় ছুড়ি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করছেন।’
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গলাকাটা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর গলার সামন ও পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।’
রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম খলিল বলেন,‘ওই শিক্ষার্থী মে মাসের ১২ তারিখে এ মাদরাসায় ভর্তি হয়। এর আগে সে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়ারচর সিলেটপাড়া মাদরাসায় পড়তো। সে ভালো। কেনো এমন ঘটনা ঘটল তা বলতে পারছি না।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনছার আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় মাদরাসার পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।