কুষ্টিয়ায় মাকে বেঁধে, মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ১ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সিনেমা স্টাইলে জোরপূর্বক কাবিন নামায় স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েটি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছরে স্নাতক শেষ করেছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম তিতাশ (৪০)। তিনি পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বলেন, স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্র, দেশীয় দা, ডাসা, দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে। বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিয়ে আমরা মানি না। আমরা মামলা করব। আমরা খুব ভয়ে আছি।
ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। গতকাল রাতে হঠাৎ সাত-আটজন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন বলেন, আমি দোকান বন্ধ করে ১০টার দিকে বাসায় আসি। সেই সময় রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসা মাত্রই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এক রুমে আটকে রাখে। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তিতাশকে (০১৭১১১৬৪৩৫৬) কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।