রৌমারীতে অপহরণ মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ৩১ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অপহরণ মামলায় জাকির হোসেন (৫০) নামের এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (৩০ মে) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানায় আনে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন (৫০) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর কাউয়ারচর নওদাপাড়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে এবং তিনি দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য। অপহরণ হওয়া শালু মিয়া (৩৫) একই ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে।
রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) এম আর সাঈদ জানান, ২০২২ সালের ১১ ফেব্রয়ারি রাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে শালু মিয়াকে (৩৫) অপহরণ ও গুমের ঘটনায় (২৭ ফেরুয়ারি) তার ভাই আব্দুস ছালাম মন্ডল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। এতে তার সন্ধান না পেয়ে স্ত্রী রেজেকা বেগম বাদি হয়ে (২৯ এপ্রিল) ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও তিনকে আসামি করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানায় আনা হয়।
ইজাহার সূত্রে জানা গেছে, শালু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ব্যবসায়িক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের গত (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শালু মিয়াকে মোবাইল ফোনে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্লুইজগেট এলাকায় আসতে বলেন জাকির হোসেন। তার কল পেয়ে দ্রুত সেখানে চলে যান শালু। এসময় তার পিছু পিছু যান তার স্ত্রীও। গিয়ে দেখেন ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন আগ থেকেই ওই জায়গায় অবস্থান করছিলেন। পরে শালুকে সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান তারা। পরে তাদের কাছে সন্ধান জানতে চাইলে উল্টো হুমকি-ধামকি দেন ভুক্তভোগি পরিবারকে। অনেক খোঁজা-খুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ আরও অজ্ঞাত তিন জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন শালু মিয়ার স্ত্রী রেজেকা খাতুন।
মামলার বাদি স্ত্রী রেজেকা খাতুনের দাবি, তার স্বামীকে অপহরণের পর গুম করা হয়েছে। তিনি তার স্বামীকে ফেরত পেতে চান।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটিতে সহসভাপতি থাকার কথা নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশিদ বলেন, এ ঘটনা আমি জানি না। যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, অপহরণ মামলায় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।