মাদারীপুরে ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, খাদ্যগুদাম সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ১৫ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মাদারীপুরে নিজ কার্যালয় থেকে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধারের পর গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ রোববার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার নয়াচর এলাকার চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না থাকায় ৬টি গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
নিহত কামরুল (৪০) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের খালাসিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খালাসির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে চরমুগরিয়া খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের ভেতরে বাথরুমের সামনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন অফিসের স্টাফরা। পরে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা–বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় সদর উপজেলা প্রশাসন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, পারিবারিক কোনো ঝামেলা কিংবা অফিসসংক্রান্ত কোনো সমস্যার ছিল কি না–এসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইসলাম হোসেন জানান, অফিসে যোগদানের পর থেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কামরুল। তার মৃত্যু কী কারণে হয়েছে, জোর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত কামরুলের দুই স্ত্রী। প্রত্যেকের মেয়েসন্তান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। তিনি পারিবারিক ও অফিসের নানা সমস্যায় চিন্তিত থাকতেন।