সিরাজগঞ্জে বালু তোলার সরঞ্জাম জব্দ, ১ জনের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১৫ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া এলাকার যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযান চলাকালে উত্তোলনে ব্যবহৃত দেড় কোটি টাকার ড্রেজার, আনলোড, লোড, বাল্কগ্রেড জব্দ সহ ১ জনকে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দ্বন্দ্ব প্রাপ্ত মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার জুনুক সাথী গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে।
গতকাল শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় এ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ আফসানা ইয়াসমিন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিনের ছোট ভাই খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিদ্যুৎ প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার খাষকাউলিয়া, বাগুটিয়া সহ আশপাশের ইউনিয়নের যমুনা নদীর এলাকা থেকে কোটি-কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে গত ৫-৬ বছর ধরে বিক্রি করে আসছে। এজন্য থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কতিপয় কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে অবাধে চালিয়ে আসছিলেন এই ব্যবসা। বাঘুটিয়ার ভুতের মোড়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার উত্তোলিত বালুর বিশাল স্তুপ করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রাক যোগে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কাজে এলাকার জাহাঙ্গীর ফকির ও শুকুর আলীকে ব্যবহার করছে চক্রটি।
বিষয়টি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরে শনিবার সন্ধ্যায় যমুনার খাস কাউলিয়ায় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার সময় উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ আফসানা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে অভিযান চালায়। তখন উত্তোলনে ব্যবহৃত দেড় কোটি টাকার ড্রেজার, আনলোড, লোড, বাল্কগ্রেড জব্দ সহ মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রোববার সকালে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ আফসানা ইয়াসমিন জানান, অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিক্রির সাথে অন্যান্য যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া ভুতের মোড়ে উতোলিত বালুও জব্দ করা হবে।
এদিকে চৌহালীতে প্রভাবশালীদের অবৈধ বালু উত্তোলন দমাতে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।