সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিক্ষুক, স্ত্রী ও পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ১০ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল বেড থেকে টেনে হিঁচড়ে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল, তার স্ত্রী লাইলী বেগম, পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক ও ওয়াজকরনীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আজ মঙ্গলবার ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী বাজার এলাকার ভিক্ষুক আব্দুল জলিল এর দখলীয়জমি জবর দখলে নিতে গতকাল সোমবার দুপুরে একই গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী’র ছেলে মজিবর রহমান ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং হামলায় গুরুতর আহত ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬০), স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), ওয়াজকরনী (২৫), জসিম (৩২), ছালমা (৩৮), শুভ (১৯), শাহীদা (৫৫) পুলিশি হেফাজতে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলার ঘটনায় আব্দুল জলিলের পক্ষে থানায় মজিবুর রহমান এর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও তা নেয়া হয়নি বলে জানা যায়। পক্ষান্তরে প্রভাবশালী মজিবর রহমান ভিক্ষুক আব্দুল জলিলকে প্রধান বিবাদী ও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত সোমবার রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে। সরিষাবাড়ী থানার মামলা নং-০৯,তারিখ-০৯-০৫-২০২২ইং। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তি থাকা ভিক্ষুক জলিলকে সরিষাবাড়ী থানার এসআই মুনতাজ আলী তাদেরকে থানায় যেতে বললে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল আপত্তি জানান। বারবার জোর প্রয়োগ করে থানায় নিতে চেষ্টা করলে আব্দুল জলিল চিৎকার দিলে এসআই আলতাব হোসেন তার মুখ চেপে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়াও আব্দুল জলিলের স্ত্রী লাইলী বেগম, পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক ও ওয়াজকরনীকেও নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাসেদ মিয়া অভিযোগ করেন। পুলিশ ওই মামলায় ভিক্ষুক আব্দুল জলিলসহ তার পরিবারের ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুনতাজ আলী নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার দেবাশীষ রাজবংশী জানান, পুলিশ তাদের কিভাবে নিয়ে যায় তা আমি জানিনা। তারা গত সোমবার থেকে হাসপাতালে পুলিশের মাধ্যমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিল।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, কৌশল অবলম্বন করে তাদের গ্রেফতার করে জামালপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।