ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে কিশোরকে একাধিকবার বলাৎকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৯ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফেনীতে এক কিশোরকে দেহ তল্লাশির নামে বলাৎকার করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইউনুস আলী নামে এক পুলিশ সদস্য। এরপর টানা তিন মাস ধরে বলাৎকার করা হয় ওই কিশোরকে। নির্যাতিত কিশোরের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ ইউনুসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর রাতে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মামলায় গ্রেফতার ও চাকরিচ্যুত কনস্টেবল মোহাম্মদ ইউনুস ফেনী মডেল থানার গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিল বলে জানিয়েছেন মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শহরের একটি দোকানে চাকরি করে ওই কিশোর। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করে কিশোরটি শহরের রামপুর এলাকাস্থ বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে পৌঁছালে পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে ওই কিশোরের কাছে অবৈধ মালামাল আছে এমন অজুহাতে আটক করে ফেনী মডেল থানার গাড়ি চালক কনস্টেবল মোহাম্মদ ইউনুস। পরে একই এলাকার নাইট হোল্ড নামে আবাসিক একটি হোটেলে কিশোরকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে ইউনুস।
একই কায়দায় পরদিন ২৪ ডিসেম্বর কিশোরকে আটক করে নির্জন স্থানে নিয়ে থানার গাড়িতে বলাৎকার করে।
চলতি বছরের ৫ মার্চ নির্যাতিত ওই কিশোরকে পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস তার নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী নিয়ে যায়। সেখানে বাড়ির একটি কক্ষে তাকে একাধিকবার বলাৎকার করে। পরে কিশোরকে একটি মোবাইল কিনে দেয়। মোবাইলটি অন্যত্র বিক্রি করে দিলে ক্ষিপ্ত হয় ইউনুস। মোবাইল সেটটি চুরি হয়েছে মর্মে উদ্ধারের জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে জেলা পুলিশ মোবাইল সেটটি উদ্ধার করলে ওই কিশোরের মা ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন।
ঘটনাটি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পেরে ওই কিশোরের মাকে থানায় মামলা দায়ের করতে পরামর্শ দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই কিশোরের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, মামলার আসামি অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে মোহাম্মদ ইউনুসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।