মেঘনায় জেলেদের সঙ্গে নৌ পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ১০ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৬ এএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় নৌ পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে আমির হোসেন নামে এক জেলে নিহত এবং চার পুলিশ আহত হয়েছেন।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মজুচৌধুরীর হাট নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন ও চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিন্ডিত করেছেন।
এর আগে ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহত আমীর হোসেন ভোলা সদরের কুতুবপুরা মতলব বাড়ির ছেলে। আহতরা হলেন- পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম, মো. মহসীন, আনোয়ার হোসেন, মোবারক হোসেন। আটক জেলেদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাটকা সংরক্ষণে মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে শনিবার রাতে নৌ পুলিশ নদীতে অভিযানে নামে। টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছালে ৫-৬টি মাছ ধরার জেলে নৌকা তাদের ঘেরাও করে। এ সময় নৌকাগুলোতে থাকা ৫০-৬০ জন জেলে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল (জালের কাঠি) নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় জেলে আমির গুলিবিদ্ধ হয়।
আটক জেলেদের কয়েকজন জানায়, ঘটনার সময় তারা নদীর কূলে বসে ছিল। তাদের থেকে দূরে ৩-৪টি নৌকার জেলেদের মধ্যে হট্টগোল শোনা যায়। হট্টগোল শেষ হলে কূলে থাকা জেলেরা নদীতে জাল উঠাতে যায়। এ সময় পুলিশের স্পিডবোট দেখে নৌকার ইঞ্জিন চালু করে তারা পালাতে যায়। এতে পুলিশ তাদের ওপর গুলি করে। গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছে।
মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, জেলেরা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি করা হয়। জেলেদের ছোড়া ইটপাটকেলে আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকায় নেয়ার পথে গুলিবিদ্ধ জেলে মারা যায়।