সিরাজগঞ্জে ৪ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ডুবেছে ১৫০ বিঘা জমির ধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী আরও প্রায় ৭৫ হেক্টর নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। ফলে উপজেলার কৈজুরি, সোনাতনী, গালা ও জালালপুর, পোতাজিয়া, রুপবাটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান সবচেয়ে বেশি ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পানি থেকে কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছে। অনেকে আবার আধাপাকা ধান মাড়াই করে কিছুটা চাউল বের করার চেষ্টা করছে।
এছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী তিল,বাদান ও কাউন ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে সানাতনী গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, ছোট চানতারা গ্রামের খোরশেদ আলম ও বানতিয়ার গ্রামের হাসান আলী ও আলম শেখ বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে আমাদের এ এলাকার অন্তত ১১৫ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। এ ধান দিয়ে তারা বছরের অর্ধেক সময় খাদ্যর চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এ ধান ডুবে যাওয়ায় তারা চরম দূঃশ্চিন্তায় পড়েছে। কাঁচা ধান কেটে তারা গরুকে খাওয়াচ্ছে। কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছে।
চুনিয়াখালিপাড়া ও থানার ঘাট ব্রীজের নিচের নিচু জমি ঘুরে দেখা যায়,কামলার অভাবে কৃষকরা বাড়ির ঝি বৌ ও শিশু সন্তানদের দিয়ে ধানকাটা,মাথায় করে বহণ ও মাড়াই কাজে সহযোগিতা করছে। পুরো এলাকা ডুবো ধানকাটার হিড়িক পড়ে গেছে।চুনিয়াখালিপাড়া গ্রামের আয়নাল প্রামানিক, শহিদুল ইসলাম, নাহিদ প্রামানিক সহ একাধিক কৃষক জানান, প্রতিবছর সাধারণত জষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হাঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের অর্ধেক বছরের খাদ্যের যোগান দেয়া এ বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় আমরা দূঃশ্চিন্তিায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন,হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ৭৫ হেক্টর বোরো ধান ডুবে গেছে। এর মধ্যে ১১৫ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ ও ৭৫ মিঘা জমির ধান আংশিক ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।