লক্ষ্মীপুরে বাসের ভেতর সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
লক্ষ্মীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ইকোনো বাসের ভেতরে সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটনকে ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় গাড়ির চালক নাহিদকে পুলিশ আটক করলেও এখনো পর্যন্ত হত্যার কারণ জানাতে পারেনি তারা। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত সুপারভাইজার লিটন সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস ইকোনো (ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-০১০৩) রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর আসে। পরে যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে নতুন একজন হেলপার, সুপারভাইজার লিটন, পুরাতন স্টাফ শিপন ও চালক নাহিদ ছিল বলে জানায় পুলিশ। এসময় চালক ও পুরাতন স্টাফ তাদের নতুন হেলপার এবং সুপার ভাইজারকে রেখে বাসায় ফিরে যায়।
পরে সুপারভাইজার ও নতুন হেলপার গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৪টার দিকে চালক এসে গাড়ির ভেতরে সুপার ভাইজার লিটনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় চালক স্থানীয় লাইনম্যান সেলিমকে খবর দিলে পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নতুন হেলপার পলাতক রয়েছে। তার পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। এ ঘটনায় পুলিশ গাড়ির চালক নাহিদকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। চালক নাহিদ রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ারের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে লিটন ইকোনোতে সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো লিটন ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরে এসেছিলেন। কিন্তু চালকসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে রিয়াদ হোসেন লিটনকে হত্যা করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন স্বজনরা।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইকোনো গাড়ির ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।