নোয়াখালীতে ধর্ষণ করার জন্য ৫ বছরের শিশুকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ৩ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর চাটখিলে ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার পর ধর্ষণ করে লাশ সেপটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার ১০ দিন পর নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই মো.শাহাদাত হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করার জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে শাহাদাত। শাহাদাত চাটখিল উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো.বাবুলের ছেলে ও নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই।
আজ রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘটনার ১০ দিন পর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে নিহত শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরের দিন ২৫ মার্চ শিশুর পিতা ও গ্রেফতারকৃত শাহাদাতের চাচা মোঃ শাহজাহান চাটখিল থানায় একটি জিডি করেন।
জিডিতে বলা হয়েছে, নিহত শিশু ২৪ মার্চ দুপুরের দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির আশেপাশের চারদিকে ও নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে। খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিশু নিখোঁজ থাকার ৯ দিনের মাথায় গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই একই বাড়ির শাহাদাতকে সন্দেহজনক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে নিখোঁজ শিশুকে প্রথমে হত্যা, পরে ধর্ষণ করে বলে স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ১০দিন পর গতকাল দিবাগত রাতে নিহতের বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আসামি শিশুকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে, তারপর তাকে ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেয়।
ওসি আরও বলেন, নিখোঁজ শিশুর পিতা এ ঘটনায় চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামির ভাষ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা করে, তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় সে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়খালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।