খাগড়াছড়িতে থামছেনা অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
“থামছেনা অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন”। অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা দিনকে দিন বৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। পাহাড় ও ফসলি জমির উর্বর স্তর কেটে ইট ভাটাগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসকল অবৈধ কাজে জড়িয়ে রয়েছেন কিছু দুষ্টুচক্ররা।
খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, পানছড়ি, দিঘিনালা, রামগড়, গুইমারা, খাগড়াছড়ি সদর, অবৈধ ভাবে খাল থেকে লক্ষ লক্ষ ফুট বালু উত্তোলন ও নির্বিচারে পাহাড় কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে উপজেলার একটি সিন্ডিকেট।
খাগড়াছড়িতে বালু উত্তোলনের সাথে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে পাহাড় কাটা ও খাল গুলো থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতেই তারা খান্ত নয়, কেটে নিচ্ছে খালের দুই পাড় ১শত ৫০-২শত ফুট। এতে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে বর্ষার ভরা মৌসুমে খালের ভাঙ্গন আগ্রাসী রুপ ধারণ করে বিপজ্জনক হয়ে উঠে খাল পাড়ে বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষ গুলোর জন্য।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষা মৌসুমে খালের দু’ধার ভেঙ্গে ফসলি জমি গুলো খালের গর্ভে পতিত হয়। বিগত কয়েক বছরে প্রায় দুইশত একর জমি খালের ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, বালু খেকোদের এমন আগ্রাসী কান্ডে আমরা খালপাড়ে বসবাসরত কৃষকরা ভয় ও উৎকন্ঠায় থাকি। কারণ একদিকে আমাদের বসত বাড়ি যেমন ঝুকির মধ্যে রয়েছে তেমনি ফসলের জমি গুলো খালের ভাঙ্গনে বর্ষায় হারিয়ে যাবে। তাছাড়া ১শত ৫০-২শত ফুট খাল পাহাড় গুলো কেটে মাটি নেওয়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবার গুলোর যেকোনো সময় পাহাড় ধ্বসে ব্যাপক প্রানহানি ঘটতে পারে। হতে পারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তারা আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে বিষয় নিয়ে বারবার সংবাদ প্রকাশ করলে প্রশাসনের কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এই ব্যাপারে ড্রাম ট্রাকে স্কাভেটর ড্রেজার মেশিনের পরিচালনাকারী এক ব্যক্তি জানান, আমার দুইটি স্কাভেটর ড্রাম ট্রাকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটছি মাটি গুলো ব্রিকফিল্ড ও নিচু জায়গা ভরাট করার জন্য ক্রয় করে নিয়ে যাওয়া হয়। মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি, তাইন্দং, গোমতী সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে র্নিবিগ্নে রাতে ও দিনে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তলন অব্যহত রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সচেতন মহল মনে করেন এই ভাবে ফসলি জমির মাটি অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা কেটে নিয়ে গেলে ফসল ফলানোর কাজ বিঘ্নিত হবে এবং এলাকার ফসল উৎপাদন ব্যাঘাত ঘটবে। জেলার নয়টি উপজেলার ইটভাটার প্রতিদিন স্কাভেটর, ড্রাম ট্র্রাক দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার গাড়ি করে। অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।