শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভাতিজাকে মাটিতে পূতেঁ রাখার অভিযোগে চাচাসহ আটক তিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ২৭ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাতিজা নূর ইসলামের (৩৫) দুই হাত পেছনে বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে তারই আপন চাচা আলিমদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নূর ইসলামকে উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে আজ রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে শেরপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তন্তর গ্রামের আবু তাহের মারা যাওয়ার পর সহোদর ছোট ভাই আলিমদ্দিন কর্তৃক জাল দলিলে লিখে নেওয়া কিছু জমি নিয়ে বিরোধ বাঁধে মৃত তাহেরের ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও সুরাহা মিলেনি। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায় এবং তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। এসময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে, বর্বরোচিত এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এএসআই আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে নূর ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামালা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।