না’গঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্র ইমন হত্যা ৪ জনের ফাঁসি ও ২ নারীর যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ২০ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্র ইমন হোসেন (১৩)কে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৪ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলো, সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলো, মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় মসজিদের ইমামের বেতন দেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।