মুফতি ইজাহারের দুই বছর কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ২০ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৮ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সম্পদ হিসাব জমা দিতে না পারায় দুই বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড মাথায় নিয়ে জেলে যেতে হলো হেফাজতে ইসলামের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির ও আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা লালখান বাজারের প্রিন্সিপাল মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে। সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় (৪৯/২০১৩) মুফতি ইজাহারে বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের হাজির থাকা মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের স্পেশাল পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, 'সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এই জরিমানা দিতে না পারলে তাকে আরও ২ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের হাজির ছিলেন, পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর ২৮ জুলাই মুফতি ইজাহারুল ইসলামের বরাবর নোটিশ পাঠায় দুদক। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাত কার্যদিবস অর্থাৎ ওই বছরের ৭ আগস্টের মধ্যে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় দুদক চট্টগ্রামের উপ সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মুফতি ইজাহারুলের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদকের বর্তমান উপ পরিচালক এইচ এম আকতারুজ্জামান মামলাটির তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর তার বিচার শুরু হয়। মামলায় ৯জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২২ সালের ২০ মার্চ মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।