২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি ২৩ শে মার্চ অবস্থান ধর্মঘট
নির্মান সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুর ঠিকাদার সমিতির কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ১৯ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রড সিমেন্ট পাথর ও বিটুমিনসহ সকল প্রকার নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচী ঘোষণা করেছে রংপুর ঠিকাদার সমিতি। কর্মসূচী সমূহের মধ্যে রয়েছে ২১ মার্চ প্রধান মন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান। ২৩ মার্চ সিটি কর্পোরেশন ও এলজিডি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট।
আজ শনিবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন, সমিতির সদস্য সচিব রইচ আহম্মেদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রংপুর ঠিকাদার সমিতির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম দুলাল। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, মঞ্জুর আহমেদ আজাদ, খায়রুল কবীর রানা, আবু আহমেদ সিদ্দিক পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মুল্য দরপত্রের চুক্তি মুল্য থেকে গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ইটের মুল্য শতকরা ৪০ ভাগ, পাথরের মুল্য ৮০ ভাগ, রডের মুল্য ৫০ ভাগ, সিমেন্টের মুল্য ৩৫ ভাগ, বিটুমিনের মুল্য ৪০ ভাগ, মোটা বালুর মুল্য ৩০ ভাগ, এমএস সীটের মুল্য ৫০ ভাগ, ফ্লাটবার ও এ্যাংগেলের মুল্য ৫০ ভাগ, টাইলসের মুল্য ২০ ভাগ, থাই গ্লাসের মুল্য ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র কিনা এবং পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মুল কারিগর ঠিকাদার লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারনে আজ দিশেহারা। ১০ লাখ ঠিকাদার এই শিল্পের সাথে জড়িত। এ ছাড়াও নির্মাণ শ্রমিক প্রায় এক কোটি। তারাও সরাসরি এই কর্মের সাথে জড়িত। নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পক্ষে নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। শ্রমিকদের কর্মহীন হয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবির সমর্থনে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৩ মার্চ রংপুর সিটি করপোরেশন ও নির্বাহি প্রকৌশলী এলজিইডি রংপুরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যূগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, সদস্য শফিকুল ইসলাম যাদু, ওয়াসিমুল বারী রাজ, রেজাউল ইসলাম মিলন, আব্দুর রব রাঙ্গা, অরুপ দত্ত, লিটন পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, নওরোজ হোসেন পল, আবু সামা, লোকমান হোসেন, আলহাজ্ব রুহুল আমীন ফুলু, রবিউল ইসলাম রবি, রাহাত ইসলাম রনি, আলতাফ হোসেন লন্ডন, ফরহাদ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম বাবু ও জয়নুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য ঠিকাদারবৃন্দ।