না’গঞ্জের ফতুল্লায় চাঁদা না দেয়ায় ডিবি পরিচয়ে কারখানায় হামলা : গ্রেফতার-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ডাইং কারখানায় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে কারখানার তিন শ্রমিককে।
গতকাল শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকায় চাঁদ নীট কম্পোজিটে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। আটক কৃতরা হলো, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, সুলতান মাহমুদ ও মীর সাজু। তারা ফতুল্লার সস্তাপুর ও লালপুর এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানান, গতকাল শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টায় ৬০ থেকে ৭০ জনের একদল সশস্ত্র যুবক কারখানার প্রধান ফটকে হামলা চালায়। নিরপত্তা রক্ষী ও শ্রমিকরা বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা করা হয়। পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় অন্তত পাঁচ শ্রমিককে। পরে ডিবি পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি হাইয়েস গাড়ি থেকে দশ বারোজন জোর করে কারখানার ভেতরে ঢুকে ভাংচুর চালায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এই দৃশ্য দেখা যায়।
শ্রমিকরা আর ও জানান, সন্ত্রাসী হামলার সময় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে কারখানা কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, সুলতান মাহমুদ ও মীর সাজু নামের তিনজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র।
এলাকাবাসির অভিযোগ, হামলার নেতৃত্বদাতা শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ইতিপূর্বে বিভিন্ন মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন। হামলার ব্যাপারে চাঁদ নীট কম্পোজিট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী জাহিদুল ইসলাম জনি জানান, গত কয়েকদিন যাবত শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু ও তার লোকজন ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কারখানায় হামলাসহ তাকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়ায় পুর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে তিনি নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আতংক এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কারাখানার মালিক, কর্মচারি ও পাঁচ শতাধিক শ্রমিক।