মিরপুর হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও বন্ধ অপারেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ১৬ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারটি কাজে আসছে না। গাইনি চিকিৎসক নিয়োগে থাকলেও ডেপুটেশনে কাজ করেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে। যার কারনে দীর্ঘ ১৫ বছর সিজারিয়ান অপারেশন করা যাচ্ছে না। দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি চরমে থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের দৌড়াতে হয় ক্লিনিকে। এতে দ্রুত অপারেশন কার্যক্রম চালুর দাবি উপজেলাবাসীর। এদিকে দীর্ঘদিন অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরঞ্জাম।
জানা গেছে, ডাক্তার তানজিমা সিদ্দিকা ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মিরপুর হাসপাতালে নিয়োগ পায়। তারপর তিনি ডেপুটেশনে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চলে যাই। তারপরও হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘ ৪ বছর বন্ধ রয়েছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার প্রায় ৪ লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০০৬ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কুষ্টিয়া সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এই হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম না চলায় অসহায় দরিদ্র মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী বলেন, অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রসূতি রোগীদের ফিরে যেতে হয় সদরে। ১৫ কিমি পথ যেতে গিয়ে রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে যেতে হয় যেকোন অদক্ষ ডাক্তারের কাছে। বাড়তি খরচ পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের। প্র়ায়ই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও রোগী ও তাদের স্বজনদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মিরপুর উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে আমার দাবী দ্রুত অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হোক।
উপজেলার রুপজান খাতুন নামে এক স্বজন বলেন, আমার মেয়ে়কে প্রসূতি অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে অপারেশন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ক্লিনিকে অপারেশন করাই। এতে সদরে যাওয়ার পথেই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমি গরিব মানুষ এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়।
মিরপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করিম বলেন, সরকারি হাসপাতালে খরচ ছাড়াই চিকিৎসা করা যায় কিন্তু মিরপুরে অপারেশন বন্ধ থাকায় মানুষকে বাড়তি টাকা দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করা করতে হচ্ছে। অতি দ্রুত ডেপুটেশনে থাকা চিকিৎসককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক অথবা নতুন নিয়োগ দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পিযুষ কুমার সাহা বলেন, 'এখানে অপারেশনের সবকিছু আছে। ২০১৭ সালে এখানে একজন গাইনি কনসালটেন্ট নিয়োগ ছিল কিন্তু একই অর্ডারে তার ডেপুটেশন করা ছিল কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে। যার কারণে আমরা এখানে অপারেশন চালু করতে পারছিনা। যদি উনি এখানে আসেন তাহলে আমরা অপারেশন করতে পারব।