লালপুরে থামছেনা পদ্ম নদী থেকে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নিরব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ১৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
লালপুরে কোনভাবেই থামছেনা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন। সরকারী অনুমতি ছাড়াই এবং কোন নিয়মনিতির তোয়াক্কা না করে দিন রাত চলছে পদ্মা নদী থেকে এস্কেবেটর দিয়ে (ভেকু) দিয়ে অবৈধভাবে বালু-ভরাট উত্তোলনের মহাৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে হাজার হাজার পরিবার। আর এ সব কিছুই চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অথচ এ বিষয়ে প্রশাসনের নিরব ভুমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। ভূমিদস্যুরা একদিকে বালু -ভরাট বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আর সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালপুর হল মোড় থেকে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার পাশে সাইনবোর্ড দিয়ে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এস্কেবেটর (ভেকু) দিয়ে অবৈধভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় মাসাধিক কাল ধরে একাজ অব্যাহত আছে। প্রতিদিন এখান থেকে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে লালপুর উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ী বালু-ভরাট ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে পার্শবর্তি বড়াইগ্রামে নির্মানাধীন বনপাড়া পল্লী বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে।
দিনরাত ড্রাম ট্রাক চলায় উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া বালু-ভরাট উত্তোলনের ফলে অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি, কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের অর্ধ শতাধিক বাড়ি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর থানা, লালপুর সদর বাজার, নদী রক্ষা বাঁধসহ প্রায় ৩০ টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি।
এদিকে বালু-ভরাট উত্তোলনে তদারককারী তিতাস বালু-ভারাট উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার দুলাভাই (ভগ্নীপতি) আব্দুল্লার সাথে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে বালু-ভরাট ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অফিসিয়াল ভাবে অনুমতি আছে এবং সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা নির্ধারন করে দিয়েছে। তবে অনুমতি ও জায়গা নির্ধারন করে দেয়ার কথা অস্বিকার করে লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার জানান, কাউকে নদী থেকে বালু- ভরাট উত্তোলন করার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।