ঝিনাইদহে হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঝিনাইদহে প্রকাশ্য দিবালোকে যুবলীগ নেতা আবুন মন্ডল (৪২) কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটায় ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা পশ্চিম পাড়ার বটতলায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি নিহত আবন খাজুরা গ্রামের সালামত মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় মকছেদ মন্ডল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবুন ফারুক হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে আবুন মন্ডল দুপুরে বাড়ি থেকে ঐষধ কেনার জন্য খাজুরা বটতলা এলাকায় মিঠুর ফার্মেসিতে যান। সেখান থেকে তিনি মটরসাইকেল যোগে ফেরোর পথে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার মঙ্গল, জাহিদ, ছোটনসহ বেশ ক’জন তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায় ২০২০ সালের ১০ জুন প্রতিপক্ষ জাহিদের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী আ’লীগে যোগদান করেন। ওই সময় রাতে যোগদান উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া করার পর যোগদানকারী ও পুরানো আ’লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আবুন সমর্থীত গ্রুপের হাতে জাহিদ গ্রুপের কর্মী একই গ্রামের গোলাম বারীর ছেলে ফারুক (৩৫) গুরতর আহত হন। আহত ফারুক পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন। ওই হত্যার জের ধরে প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এদিকে নিহত আবুন মন্ডলের পিতা সালামত মন্ডল পুলিশকে জানিয়েছে জাহিদ, মঙ্গল ও ছোটন গংরা আ’লীগে যোগদান করলেও তারা কার্যত এখনো বিএনপির রাজনিতীর সাথেই জড়িত রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ জানায় বেশ ক’বছর আগে আরো একটি ঘটনায় নিহত আবুন মন্ডলের ভাই সাহাবুলের হাত কেটে নেই জাহিদ গ্রুপ।
এরই ধারাবাহিকতায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে জাহিদ গ্রুপের আ’লীগ যোগদান ও ফারুক আবুন হত্যাকান্ডসহ সাহাবুলের হাত কর্তনের ঘটনার যোগসুত্র রয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে আড়াইশ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শেন করেছে। এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।