জামাইকে হত্যার অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৩ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেয়ের জামাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। নিহত যুবকের নাম মো.মোবারক হোসেন শাওন (১৮)। সে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের চিরাম বাড়ির শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একই দিন দিবাগত রাতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শাওন উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটের তাহেরা ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুল মালেকের দোকানে প্রায় ২ যাবত চাকরি করে। দুই মাস আগে আমরা জানতে পারি শাওনের সাথে দোকানের মালিক আব্দুল মালেক তাঁর পালক মেয়েকে বিয়ে দেন। শনিবার দুপুরের দিকে শাওনের শ্বশুর তাঁর বাড়িতে এসে তাকে খোঁজ করতে থাকে। এ সময় শাওনের মা তাকে জানায় শাওন গোসল করতে গেছে। এক পর্যায়ে শাওন গোসল করে ঘরে এলে তাঁর শ্বশুর তাকে বলে সুন্দর দেখে পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরে নাও। সে ঘর থেকে বের হয়ে এলে তাঁর শ্বশুর শাওনকে বলে তোমার মাকে সালাম দিয়ে নাও, দোয়া নাও এবং মাফ চেয়ে নাও।
নিহত শাওনের মা শামসুন্নাহার অভিযোগ করেন, দুপুরের দিকে মালেক আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরে একা ছিলাম। ওই সময় মালেকের দোকানের দুইজন কর্মচারি কৌশলে আমার ছেলের মরদেহ ঘরে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, মালেক গোপনে তাঁর পালক মেয়েকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। সে আমার ছেলেকে আমাদের কাছে আসতে দিতনা। আসলে সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে, না হয় সে এসে নিয়ে যেত। আমার ছেলে এ সব বিষয়ে কখনো আমার কাছে মুখ খুলতো না। আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। শরীরে বড় কোন আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ দুপুরে তার শ্বশুর তাকে নিয়ে যায়। এরপর হত্যা করে সন্ধ্যায় লাশ পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আজ রবিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।