কাহালুতে মাছ ব্যাবসায়ী খুনের ঘটনার জেরে ৫টি বাড়ী ও ১টি দোকানে অগ্নিসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ৫ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বগুড়ার কাহালুতে ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আগুন নেভাতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও পথরোধ করে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
আজ শনিবার (৫ মার্চ) সকালে উপজেলার জয়তুন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় কাহালু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
নিহত মাছ ব্যবসায়ীর নাম মো. সেকেন্দার আলী। ৫৮ বছরের এই ব্যবসায়ী জয়তুন গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে। গত ২ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান সেকেন্দার আলী।
আগুনে জয়তুন গ্রামের রাকিব, মোস্তফা আলী, জিহাদ ও নজরুল ইসলামের বাড়ি পুড়ে যায়। এ ছাড়া অগ্নিকান্ডে নজরুলের দোকানঘরও ক্ষতিগগ্রস্থ হয় বলে জানান কাহালু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুবেল রানা। তিনি আরো জানান, ছুরিকাঘাতে সেকেন্দার আলী নামে এক মৎস ব্যবসায়ী নিহত হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দেয়।
খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু উত্তেজিত গ্রামবাসী গাড়ির ওপর হামলা করতে উদ্যত হয়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় গাড়ি পিছিয়ে আনা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা সম্পর্কে কাহালু থানার ওসি আম্বার হোসেন বলেন, একই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শত্রুতার জেরে ২ মার্চ সেকেন্দার আলীকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থা খারাপ হলে ঢাকায় নিয়ে যায় সেকেন্দারের পরিবার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান তিনি।
ওসি বলেন, ওই মৃত্যুর জেরে বিক্ষুব্ধ গ্রামব্সাীর দেওয়া আগুনে পাঁচটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।