জীবিত নারীকে মৃত দেখিয়ে অপর নারীর নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রতিস্থাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ৩ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আনোয়ারা নামে এক জীবিত বয়স্ক নারীকে মৃত দেখিয়ে হেনা বেগম নামে অপর এক নারীর নামে সমাজ সেবা অফিস কর্তৃক বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বয়স্ক ভাতা বই সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের মৃত-কাসেম ফকির এর স্ত্রী মোসাঃ আনোয়ারা বেগম (৭৮) (বয়স্ক ভাতা বই নং-৬১০) ভাতা চালুর পর থেকেই তিনি কয়েক বছর যাবৎ তিন মাস পর পর নিয়োমিত ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। কিন্ত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারী সোনালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় বকেয়া তিন মাসের ভাতা নিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেন সমাজসেবা অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় আপনাকে মৃত দেখানো হয়েছে। আপনি সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন।
হতভাগ্য ওই নারী এখনও জানেন না যে ক্ষমতাবানরা তাকে জীবিত থাকতেই মেরে ফেলে তার স্থলে অন্যের নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে মোসাঃ আনোয়ারা বেগমকে মৃত্যু দেখিয়ে তার স্থলে একই ইউনিয়ন এর কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর স্ত্রী হেনা বেগম এর নামে উক্ত ৬১০ নং ভাতা বইটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৮৬ জন প্রতিবন্ধী, এক হাজার ৭২৬ জন বিধবা ও চার হাজার ৬ জন বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীকে তিন মাসের ভাতা প্রদান করা হয়। প্রতিজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৩ মাসে ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, ৫০০ টাকা হারে বয়স্কদের তিন মাসে ৬০ লাখ ৯ হাজার ও বিধবাদের মাসে ৫০০ টাকা হারে ৩ মাসে ২৫ লাখ ৮৯ করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হাসান সিপন এ প্রতিবেদকে বলেন, আমদের বড় ইউনিয়ন আমি বয়স্ক সবইকে চিনিনা চৌকিদার দের তথ্য মতে মৃত্যু সনদ দিয়ে থাকি। যদি এরকম ভুল হয়ে থাকে তবে সমাজ সেবা অফিসে বলে নতুন টাকে বাতিল করে আগের ব্যক্তির ভাতা চালুর সুপারিশ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ বজলুর রশিদ বলেন, অনেকেরই সমস্যা রয়েছে তবে ওই বয়স্ক নারীর অভিযোগ পেলে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সুবিধাভোগীর অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।