দিরাই থানা থেকে এসআই দেবাশীষ কে প্রত্যাহারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শান্তিগঞ্জের শত্রুমর্দন (বাঘেরকোনা) গ্রামের বাসিন্দা উজির মিয়া হত্যার অভিযোগ আসে শান্তিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ সুত্রধর এর বিরুদ্ধে।
এ অভিযুক্তকে দিরাই থানায় বদলী করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলা কল্যাণ সমিতি। তারা অনতিবিলম্বে দিরাই থানা থেকে এসআই দেবাশীষ কে প্রত্যাহারের দাবি জানান দিরাই উপজেলা কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরীকে, যুগ্মআহ্বায়ক ডা. সৈয়দ মোনাওয়ার আলী, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার দাস, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবুল মজাদ চৌধুরী, অ্যাড. স্বপন কুমার দাস রায়, শেখ জাহির আলী, সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক একে কুদরত পাশা, সালেহিন চৌধুরী শুভ, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, মলয় বিকাশ দাস প্রমূখ।
তারা বলেন, শান্তিগঞ্জের শত্রুমর্দন (বাঘেরকোনা) গ্রামের বাসিন্দা উজির মিয়া গত সোমবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মারা যান। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি উজির মিয়ার স্বজন ও এলাকাবাসীর।
তারা ওইদিন দুপুরে উপজেলার পাগলা বাজার এলাকায় মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা অবরোধের পর প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উজির মিয়া ছোট ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) গভীর রাতে বাড়ি থেকে উজির মিয়াকে ধরে নিয়ে যায় শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ। থানায় নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন তাকে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ওইদিনই আদালত থেকে উজির মিয়া জামিনে ছাড়া পান। বাড়িতে আসার পর উজির মিয়ার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর উজির মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে আবার বাড়িতে আনা হয়।
গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ শান্তিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ সুত্রধর, পার্ডন কুমার সিংহ ও আক্তারুজ্জামান উজির মিয়াকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, যদিও কোন অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, সাধারণভাবেই তাকে বদলি করে দিরাই থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। 'যেহেতু ঘটনাটি তদন্তধীন রয়েছে, তাই এখানে শাস্তিমূলক বদলি হয়নি।' তবে দিরাই উপজেলা কল্যাণ সমিতি মনে করে যেহেতু এসআই দেবাশীষ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সেহেতু তাকে দিরাই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হোক।