নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্রমিক খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুন্না (২০) নামক এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছে তারেক (১৬) নামক অপর এক কিশোর। তারা উভয়েই ফতুল্লার লালপুরস্থ হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলসের শ্রমিক।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ফতুল্লা থানার পোস্ট অফিস রোডস্থ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাংলাদেশ টায়ার নামক একটি কারখানার গেইটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত মুন্না ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার পলাশপুরের জাহিদুলের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের দিকে থেকে ১ জন মেয়েসহ ৩ জন পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে আসছিলো বিপরীত দিক থেকে আসা ৬/৭ জনের একটি গ্রুপের সাথে তাদের বাক বিতন্ডতা হয় তখন ৬/৭ জনের দল থেকে দুজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
একজনের পায়ের রগ কেটে যায় এবং অপরজনকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে পালিয়ে যায়। মেয়েটি ও পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে চলে যায়। এদের মধ্যে একজনের নাম মুন্না জানা গেলেও পায়ের রগ কাটা অপর জনের নাম জানা যায়নি।
এদিকে আহত তারেক বলছে ভিন্ন কথা। সে জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সে তার এক সহকর্মী কে নিয়ে পায়ে হেটে রেল স্টেশনস্থ বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে আসছিলো। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ গলি পার হয়ে বাংলাদেশ টায়ার মিলসের সামনে যাওয়া মাত্র মাস্ক পরিহিত তিন যুবক তাকে ও তার সহোযোগিকে চড়, থাপ্পর ও ঘুষি মেরে তার সাথে থাকা মানিব্যাগ সহ ২১০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদর কে ছেড়ে দেয়।
পরক্ষনে নিহত মুন্না ও একই রাস্তা দিয়ে স্পিনিং মিলে আসছিলো। তাকেও তারা মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদের মিলের অন্যান্য শ্রমিকরা রক্তাক্ত মুন্নাকে জেনারলে (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, নিহত মুন্নাকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা কি শুধুই কি ছিনতাই না অন্য কোন কারনে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রথমত বিষয়টি ছিনতাই মনে হলেও বিষয়টি মেয়ে ঘটিত কোন কারনে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।