নিহত পাঁচ ভাইয়ের পর আহত আরেক ভাইও মারা গেলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপের ধাক্কায় আহত হয়ে টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে রক্তিম সুশীল (৩১) মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মালুমঘাটায় পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন রক্তিম সুশীল। একই ঘটনায় রক্তিমের আরও পাঁচ ভাই মারা যান। আহত হন রক্তিম, ভাই প্লাবন ও বোন হীরা। আজ রক্তিমও অপর পাঁচ ভাইয়ের পথ ধরলেন।
ঘটনাস্থলে নিহত চারজন হলেন- ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং সগীরশাহ কাটা হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম সুশীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫) ও চম্পক সুশীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান স্মরণ সুশীল (৩২) নামের আরও এক ভাই।
১৩ ফেব্রুয়ারি রক্তিমকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি গুরুতর আহত রক্তিমকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ওখান থেকে মেডিকেলের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
রক্তিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক আইসিইউর চিকিৎসক অঞ্জন বল জানান, তিনি মাল্টিপল ট্রমায় ভুগছিলেন। মাথা, হাত, পা ও পাঁজরে আঘাত ছিল। লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ মারা গেছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে মালুমঘাটা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে রক্তিমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্রুতগতির একটি পিকআপ ধাক্কা দেয়। ১০ দিন আগে মারা যাওয়া বাবার শ্রাদ্ধকর্ম সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। রক্তিম মা মৃণালিনী, স্ত্রী সুমনা শর্মা, ঋদ্ধি সুশীল নামে একটি ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন রেখে যান।
রক্তিমেরা আট ভাই। এর মধ্যে পাঁচজন ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনায় মারা যান। এর বছর দুয়েক আগে অপর এক ভাই অসুস্থ হয়ে মারা যান। সবার ছোট প্লাবন এবার এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে প্লাবন বাড়ি ফিরেছেন।