দুদকের মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃরবিউল ইসলাম এই আদেশ প্রদান করেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে পৌর মেয়র ও সচিবকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মেয়রকে কারাগারে প্রেরণের সংবাদে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের আদালতের সামনেসহ একাধিক স্থানে সড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তার দুইপাশে বাস রেখে এবং পলিথিনে আগুন ধরিয়ে দেন অবরোধকারীরা। কিছু সময় পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক, খুলনা কার্যালয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।
একটি মামলায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করা করা হয়।
অন্যদিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করা হয়।
ওই দুই মামলায় ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মেয়রের আগাম জামিন না মঞ্জুর আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন । উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী মেয়র বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এই মামলায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু সহ তিন শতাধিক আইনজীবী আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মিলন কুমার ব্যানার্জি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু বলেন, পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করে । আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যেহেতু মেয়র শারীরীক ভাবে অসুস্থ তার প্রয়োজনী কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই মামলাটি আইনী মোকাবেলা করবো বলে জানান এই আইনজীবী।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, যা ঘটেছে তাতো আপনারা দেখেছেন। এ বিষয়ে আমি আর কি বলব।