মাগুরার শ্রীপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ও সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
মাগুরার শ্রীপুরে এক সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারগুলো এই অভিযোগ করেন। জানা গেছে, উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের মাটিকাটা বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও একই সাথে সংখ্যালঘুদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন উক্ত চেয়ারম্যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত বিশ্বাস নিজে উপস্থিত থেকে মাটিকাটা বাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই নির্মাণ কাজ চলছে। এরই মধ্যে সমতল জমি থেকে প্রায় ২০ ফুটের মত গাথা হয়েছে। অপরদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ৪ শতাংশ জমি কিনলেও একই প্লট থেকে অতিরিক্ত আরো ৩ শতাংশসহ মোট ৭ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এমনকি একোয়ারের জমি দখলের জন্য প্লটের ৫১ শতাংশ জমির মধ্যে ৭ শতাংশই রাস্তার পাশ থেকে দখল করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারগুলো মধ্যে রনজিত, সনজিত, শ্রীবাস, শৈলেন বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমাদের একোয়ারের জমি জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। জমির মালিক আমরা আর মার্কেট করেছে উনি। ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি। তিনি ভিন্ন প্লট থেকে ৪ শতাংশ জমি কিনলেও একই জায়গা থেকে আরো ৩ শতাংশ মোট ৭ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। আমরা কিছুই জানিনা। তিনি একোয়ারের জমি দখলের জন্য রাস্তার পাশে মেপে নিয়েছে। এত কিছুর পরেও আমরা সংখ্যালঘু বলে ভয়ে মুখ খুলতে পারছিনা। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত বিশ্বাস বলেন, সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করছি না। জমিতে ঘর করবো, তাই যাতায়াতের রাস্তা করছি। আমি রাস্তার পাশের জমির মালিক, কাজেই সরকারি এ জমির দখলও আমার। ডিসিআর আমার নামে এখনো হয়নি, তবে করে নিবো। আমি জোরপূর্বক জমি দখল করিনি। দলিলের জমি যতটুকু আছে আমি ততটুকুই বুঝে নিয়েছি।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, সরকারি জমি দখল ও কোন স্থাপনা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় কোন কিছু করতে হলে অবশ্যয় অনুমতি লাগবে৷ রাস্তা করতে হলেও সমতল জমি উপর ইটের গাথুনি দিতে পারবে না। সরেজমিনে দেখা হবে। যদি এমনই হয় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।