ঘোড়াশালে তিন দিন পর যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, ছয়দিনে স্ত্রী বিধবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৬ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের তিন দিন পর মীর মাইনুল হক (২৩) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘোড়াশাল বাজারের টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতাল) থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই যুবক ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ফেলু মীরের ছেলে। নিহতের স্ত্রী শ্রাবন্তী জানান তার স্বামী মাইনুল মীর কে না পেয়ে ডাঃ শিহাবুল হককে চেম্বারে এসে তাল খুলে দেখার কখা বললে সে আসেনওনি তালা খুলে বা ভেঙে দেখার ও অনুমতি দেননি প্রশাসনের সহযোগিতা নিতেও বলেননি। আরো বলেন এবং সন্দেহ করেন মাঈনুলের স্কুল জীবনের ক্লাসমেট মিম এর সাথে কথা বলা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। তাই ডাক্তার এবং মিম হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঘোড়াশাল বাজারে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় মাইনুল। এরপর আর বাড়িতে ফিরে নি। তারপর থেকে মাইনুলের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে মাইনুলের আর কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে পলাশ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন নিহতের স্ত্রী শ্রাবন্তী আক্তার (২০)। তারপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন থানা পুলিশ।
তথ্যটি নিশ্চিত করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, শুক্রবার সকালে নিহত মাইনুল হকের স্ত্রী থানায় এসে একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপর মাইনুল হকের কল লোকেশন এনে জানতে পারি তার শেষ অবস্থা ঘোড়াশাল বাজার। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন তদন্ত করার মধ্যেই খবর পাই যে নিহত মাইনুলের গলাকাটা লাশ তার কর্মস্থল টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতালে পড়ে আছে।
ওসি আরও বলেন, শনিবার বিকালে টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতাল) এর ডাক্তার শিহাবুল হক এসে অফিস খুলতেই দেখতে পায় ভিতরে গলাকাটা অবস্থায় নিহত মাইনুল হকের লাশটি পড়ে আছেন। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। ক্লাসমেট মীম ও ডাক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন সহসায় বেড়িয়ে আসবে।
এঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করাসহ ঘাতককে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।