কাপাসিয়ায় জুয়া খেলার টাকা ছিনিয়ে নিতে হত্যা করা হয় রুবেলকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জুয়া খেলার টাকা ছিনিয়ে নিতে গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের শহরটোক গ্রামের রুবেল মিয়াকে হত্যা করেছিল ময়মনসিংহের পাগলা থানার এক দল যুবক। এ মামলার প্রধান আসামী মোঃ কামরুল ইসলামকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রায় দুই বছর পর পিবিআই গাজীপুর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে।
জানা যায়, শহরটোক গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) স্থানীয় টোক নয়ন বাজারে বিভিন্ন খাবার তৈরি ও বিক্রি করতো। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ বিকালে রুবেল মিয়া তার সঙ্গীয় মোঃ রিপন, বিমল বর্মন, নাছির উদ্দিন, মোঃ আরিফ, আরিফ মিয়া ও দিলিপ ঘোষ টোক নয়ন বাজারস্থিত বানার নদীর ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত যাত্রীবাহী নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে জুয়া খেলছিল।
এ সময় মোঃ কামরুল ইসলাম তার সঙ্গী খোকন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, সাইদুল ও মোঃ হেভেন পাগলা থানার বারইহাটি বাজারে অবস্থান করছিল। তারা পাশ্ববর্তী বানার নদীতে জুয়া খেলার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অপর একটি ইঞ্জিন চালিত যাত্রীবাহী নৌকা নিয়ে আক্রমণ চালায়। এ সময় সঙ্গীরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে নদীর তীরে চলে যায়। রুবেলের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিতে গেলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কামরুল ও তার সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় ও শরীরে এলোপাথারি আঘাত করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এ সময় তারা রুবেলকে নদীতে ফেলে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর টোক এলাকায় বানার নদীতে রুবেলের অর্ধ গলিত লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই রুবেলের পিতা মফিজউদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় ছয় মাস পর এ মামলাটি পিবিআই এর হাতে ন্যাস্ত করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামী কামরুলকে তার বারইহাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হলে সে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী তার সহযোগীদের নিয়ে জুয়ার বোর্ডের টাকা ছিনিয়ে নিতে রুবেল মিয়াকে লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বানার নদীতে ফেলে দেয়। মোঃ কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে সে অপর আসামীদের নাম উল্লেখ করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।