ঝিনাইদহে ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট এন্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এস.ই.আই.পি) আওতায় ঝিনাইদহে ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে এখানে ভর্তি ও ড্রাইভিং করানো হচ্ছে।
জানাগেছে, ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে দুই শিফটে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন চলতি সেশনে। ইতিমধ্যে তাদের লিখিত, ব্যবহারিক ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য।
প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত খরচ হিসাবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। দুই শিফটের এই প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদুর রহমান এই টাকা আদায় করেন। প্রতি ব্যাচের কাছ থেকে তিনি টাকা নেন।
টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে জাহিদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান জানান, এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ সব কিছু বলতে পারবেন।
অন্যদিকে ঝিনাইদহের বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি ব্যাচ বের হয়েছে। প্রতি ব্যাচে ১০০ জন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখানেও দুই থেকে তিনি হাজার টাকা লাগে নেওয়া হয়েছে। ভর্তির সময় আসলে লাউদিয়ার গ্রামের কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নিজস্ব লোকেরা ভর্তি ফর্ম বিক্রি করেন এবং তাদের বাছাইকৃত লোকেরায় ভর্তির সুযোগ পায়।
এখানকার টেনিং ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, তিনি জানুয়ারির ১০ তারিখে ঝিনাইদহে যোগদান করেছেন। এর আগে কোন অনিয়ম হলে তিনি বলতে পারবেন না। তবে এখন কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।