সরিষাবাড়ীতে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী থেকে পুত্র সন্তান ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, মহিলাসহ আহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর নিকট থেকে ২মাসের পুত্র সন্তানকে জোর করে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে হামলা এবং মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ ৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান এর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও আহতের পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান এর মেয়ের মায়া খাতুন এর সাথে গত ২০২০ ইং সালের ফেব্রুয়ারীতে একই গ্রামের জিন্নত এর ছেলে হুমায়ুন এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে স্বামী হুমায়ুন স্ত্রীর উপর শারিরীক এবং মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এত ঘটনার পরেও মালা খাতুন গত ২০২১ ইং সালের ১১ নভেম্বর ১টি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুর নাম রাখা হয় ফাইজুর রহমান মায়াজ। সন্তান জস্মের পরপরই স্বামীর সীমাহীন অসহনীয় নির্যাতনের কথা ভেবেই মায়া খাতুন স্বামী হুমায়ুনকে গত ২০২১ ইং সালের ২৮ নভেম্বর তালাক দেয়। তালাকের পর রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা রাতে হুমায়ুন ও তার ভাই হাফিজুর রহমান, সহযোগী নয়া মিয়ার পুত্র সাদ্দাম, পলাশ, উমর এর পুত্র হৃদয় মিয়া কৌশলে এবং শক্তি প্রয়োগ করে শিশু মায়াজকে তার মা’র কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তারা মায়া খাতুনকে এলোপাথারি কিলঘুষি মেরে আহত করে। এ সময় মায়া খাতুন এর ডাক চিৎকারে তার মা আকলিমা ও পিতা আব্দুল মান্নান, নানা আজিজুল হক মামা মামুনুর রশিদ এগিয়ে এলে তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মালা খাতুন (২১), আকলিমা আক্তার (৩৫), আজিজুল হক (৫৫), আব্দুল মান্নান (৪৫), মামুনুর রশীদ (৩২)।
গুরুতর আহত আকলিমা আক্তারকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সাহেদুর রহমান সোমবার সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেছেন। বাকীদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান জানান, শিশু সন্তান ছিনিয়ে নিতে আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে মারপিট করেছে হুমায়ুন ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো। তিনি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবী করেছেন।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।