রৌমারী সীমান্তে চোরাকারবারিদের জন্য অতিষ্ঠ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক : থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সীমান্তে গরু-মাদকদ্রব্য পাঁচারকালে সাধারণ কৃষকদের একরে একরে আবাদী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অতিষ্ঠ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। আশরাফুল ইসলাম লাল নামে ক্ষতিগ্রস্ত একজন কৃষক ১৬জন চোরাকারবারীর নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ০১ফেব্রয়ারি রাত ১টা দিকে ভারত থেকে গরু এবং ইয়াবা পাচারকালে অভিযোকারী আশরাফুল ইসলামের বাঙ্কার খুরে দু'একর ভুট্টা খেতসহ কয়েকজন কৃষকের প্রায় তিন একর ভুট্টা খেত ধ্বংস করে চোরাকারবারীরা। যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন,দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে শফিকু ইসলাম ওরফে টাওয়ার শফিকু(৩২), হরিণধরা গ্রামের আউয়ালের ছেলে ফজর মিয়া ওরফে ফকরে(৩৩), কালুমিয়ার ছেলে ছতিয়ার মিয়া(৩৪), বাছের আলীর দুই ছেলে মন্ডল ইসলাম(৩২), রহিজুদ্দিন(৪৫), ছফিয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলাম(৪০), আলিম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম(২৫), ছয়েদ আলীর ছেলে রহিম মিয়া(৪৫), ধর্মপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে জয়দুল ইসলাম(৩৪), আনছের আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন(৩০), বাতেন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া(২৩), দাঁতভাঙ্গা গ্রামের কামেদ আলীর ছেলে মিনারুল ইসলাম(২৫), বাতেন মিয়ার ছেলে ফরিদুল ইসলাম(২৫), আব্দুল বাতেন মিয়ার ফরিজ মিয়া(২৬), জাইদুল ইসলাম(২৫) পিতা অজ্ঞাত। অভিযুক্তরা এলাকার কুখ্যাত চোরাকারবারি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তাদের নামে রৌমারী থানায় মামলাও রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জাইদুল ইসলাম,আমি ভুট্টা চাষ করছি। গাছও বড় হইছে। চোরাকারবারিরা আরকি দিয়া গরু-মাদক নিয়া আইসে। আমার ভুট্টা খেত নষ্ট করি ফেলাইছে। বিজিবি কই তামরা কিছুই কয় না। সরকারও কোন পদক্ষেপ নেয় না। এভাবে আবাদ ক্ষতি হইলে তো আবাদ হবে না।
কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আবাদ কচ্ছি কিন্তু গরু পাচারকারীদের জন্য আবাদ করবার পাবাইছিনা। হামরা কৃষক অতিষ্ট হয়া গেছি। ভুট্টা, সরিষাসহ মেলা জমির ফসল নষ্ট হয়া যায় রাতে পাচারের সময়। এলাকার প্রায় ৮/১০জন কৃষকের তিন একর ফসলি জমি নষ্ট হয়া গেছে। এলাকার কৃষক আব্দুল মমিনের ৬২শতক, মুকুল মিয়ার-১২৪শতক, রাশেদুল ইসলামের-৬২শতক, সাইফুল ইসলামের-৪৫শতক ভুট্টা খেত নষ্ট হয়েছে।
অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিঘা প্রতি আমি ৩০হাজার টাকা খরচ করে ভুট্টা চাষ করছি দু'একর জমিতে। বিঘা প্রতি এর ফলন হতো প্রায় আড়াই মণ। যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। চোরাকারবারিরা গরু-মাদক পাচারকালেআমার সেই দু'একর ভুট্টা খেত নষ্ট করে ফেলেছে। তাদের জন্য সীমান্তের ফসলী জমিতে আমরা ঠিকভাবে আবাদ করতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সহিত দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।