ফরিদপুরে ধুমধাম করে বট-পাকুড়ের বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের দয়ারামপুর বাজার এলাকায় ধুমধাম করে বটগাছ ও পাকুড়গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের অন্তত ৫০০ মানুষ বিয়ের দাওয়াত খেয়েছেন। আয়োজকদের দাবি, এতে গ্রামের মঙ্গল হবে।
গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শুভলগ্নে শুরু হয় বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। চলে রাত পর্যন্ত। গোধূলিলগ্ন ধরে পুরোহিত শ্যামল কুমার দাস মন্ত্র পড়ে বটগাছকে ‘বর’ ও পাকুড়গাছকে ‘কনে’ হিসেবে ধরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। দয়ারামপুর বাজার কমিটি এ বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ে উপলক্ষে রঙিন কাগজে সাজানো হয় পুরো বাজার। বর বটগাছের বাবা হয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী অধির ব্যানার্জী। কনে পাকুড়গাছের বাবা ছিলেন একই গ্রামের ব্যবসায়ী অরুণ সাহা। বর-কনের বাবার দায়িত্ব পালন করতে পেরে বেশ খুশি তারা। বিয়েটা বট-পাকুড়ের মধ্যে হলেও তাদের মধ্যেও আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট থাকবে।
তারা বলেন, এটা পুরোনো রীতি ও বিশ্বাস। বটগাছ ও পাকুড়গাছ একসঙ্গে থাকলে বিয়ে দিতে হয়। সেজন্যই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বট-পাকুড়গাছের বিয়ের আয়োজন করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ে উপলক্ষে বট-পাকুড় গাছের চারপাশ সকালেই গোবর মাটি দিয়ে লেপে রঙের আঁচড় দিয়ে সাজানো হয়। বিয়ে ঘিরে বর-কনের পাশে সাজানো হয় ছাদনাতলা। বিয়ের হলুদ কোটা, পুকুর থেকে পানি আনা, বর ও কনের বাবাকে দিয়ে করা হয় বিদ্ধি অনুষ্ঠান। নারীরা পুকুরে গিয়ে গঙ্গাপূজা সেরে আসেন। পানি দিয়ে ভরে আনেন ঘট। ছাদনাতলায় মঙ্গলঘট বসিয়ে শুরু হয় বিয়ের নিবেদন। বিকেল থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত গড়ায়। বিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতার আগমন ঘটে। খাবারের পদে ছিল পোলাও, সবজি, ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি ও মিষ্টি।