রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ট্রাকচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ট্রাকচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদ হাবিব হিমেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৭-২০১৮) শিক্ষার্থী। এছাড়া তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। হিমেল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ৫টি ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রক্টর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। রাত ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি আবাসিক হল নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হল নির্মাণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের সামনে। অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে। এই দুটি হল নির্মাণ করতে বেশ কয়েকটি ট্রাকযোগে নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেয়ার কাজ করা হচ্ছে। নিহত হিমেল মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নির্মাণ সামগ্রীবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এই দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মামামাল আনা-নেয়ার জন্য কয়েকটি ট্রাক কাজ করছে। এর মধ্যে একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ওই শিক্ষার্থী মারা যান।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, ‘বর্তমানে আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’