জলবায়ু প্রভাব ও কাঠ পাচারে হুমকিতে তালতলীর টেংরাগিরি বন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও কাঠ পাচারকারীদের কারণে বরগুনা জেলাধীন তালতলীর টেংরাগিরি সংরক্ষিত বন উজাড় হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বন রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গোপসাগর উপকূলে বরগুনা জেলাধীন তালতলীর সংরক্ষিত বনাঞ্চল টেংরাগিরি। ১৩ হাজার ৬৪৪ একরের বনটি একসময় সুন্দরবনের অংশ ছিলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙ্গন ও বালু জমে শ্বাসমূল ঢেকে যাওয়ায় ম্যানগ্রোভ বনটির হাজারো গাছ মরে গেছে। সাথে রয়েছে বন নিধন করে গাছ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। এ কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা। তাই তারা সরকারের কাছে বেড়িবাঁধের কাছে গাছ লাগানোর আবেদন জানায়।
ব্যাপকভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস করায়, ‘ফাতরার বন’ হিসেবে পরিচিত এই বনভূমির উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্যে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমতলী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শামসুল আলম মিলন জানান, পরিবেশের বড় ঝুঁকি হচ্ছে বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া। এর কারণে জীববৈত্র্যি এবং প্রকৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমতলী সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফজলুল হক বলেন, বন না থাকলে প্রাণীর কোন অীস্তত্ব থাকবেনা। তাই বনভুমি রক্ষা করা অতীব জরুরী।
টিয়াখালী কলেজের কৃষি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোঃ খালেদ মোশাররফ সোহেল বলেন, জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বনভূমি রক্ষা করা অতীব জরুরী। তা না হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যাবেনা।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় টেংরাগিরি বনাঞ্চল রক্ষার দাবি উপকূলবাসীর। আর এই ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে নতুন করে বনায়ন করার কথা জানিয়েছে বনবিভাগ।