কনকনে শীতে যবুথবু সাঘাটার চরের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঘন কুয়াশা বেড়ে গেছে। চারদিকে যেন সবকিছু ঢেকে আছে। তিনদিন ধরে ভালোভাবে সুর্য্যরে মুখ দেখা যায় না। তার উপর আবার উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রচন্ডতা বেড়ে গেছে। কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর তীর বেষ্টিত চর এলাকার মানুষ। সবচেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে অত্রালাকার ছিন্নমুল জনগোষ্ঠি।
আজ বুধবার সকালে পল্লীর অনেককে খড়-কুটো ও কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে।
উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের সত্তোর উর্ধ্বো বয়সের ইসাহাক আলী ফকির জনান, শীতের মাত্রা কয়েকদিন ধরেই বেশি। ঠান্ডা বাতাসই শীতের প্রচন্ডতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিকেল গড়ানোর আগেই কুয়াশায় ঢেকে যায় সবকিছু। কুয়াশার অন্ধকারে সড়কে যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীত তীব্র আকার ধারন করছে। ফাঁকা হয়ে আসে রাস্তা-ঘাট, পথ-প্রান্তর। এদিকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনা বেষ্টিত চর এলাকার মানুষ। এখানে শীতের প্রচন্ডতা সবচেয়ে বেশি। ঠান্ডায় জমিতে কাজ তো দুরের কথা, ঘর থেকেই বের হওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানালেন, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন। চরের ছিন্নমুল শীত কাতর মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। খড়-কুটো জ¦ালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। উপজেলা ত্রান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৩২ পিচ কম্বল, এক হাজার ৪৮২ পিচ গায়ের চাঁদর ও ৭শ’ পিচ শিশুদের সোয়েটার বরাদ্দ হয়েছে। চর এলাকা হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, এবার শীতের তিব্রতা বেশি। নদী ভাঙা অসহায় মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ ইউনিয়নে গরম কাপড়ের চাহিদা থেকেই যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছে। শীত বেশি থাকায় চাহিদা বাড়তে পারে।