কুলিয়ারচরে সমাজহিতৈষী প্রয়াত আলহাজ্ব মোঃ ছিদ্দিক মিয়া ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ এর প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব ছিদ্দিক মিয়ার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৫ জানুয়ারি) মঙ্গলবার।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড পরিস্থিতির কারণে মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক কোন কর্মসূচী না থাকলেও মরহুমের পরিবার, তাঁর আত্মীয় স্বজন এবং দীর্ঘদিনের হিতাকাঙ্খীরা একান্তভাবে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া প্রার্থনা করছেন।
মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া তাঁর কর্মময় জীবনে নিজের মেধা, সততা, দক্ষতা, পরিশ্রম, আর ধৈর্যকে কাজে লাগিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ নামে দেশের সুনামধন্য এক শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা আজও সগৌরবে সুনামের সহিত সারাদেশে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া ব্যবসার পাশাপাশি তাঁর নিজ জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন মৃত্যুর পূর্বক্ষণ প্রর্যন্ত। নিজ জন্মভূমি কুলিয়ারচরে গড়ে তুলেছিলেন বহু স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা। দ্বায়িত্ব পালন করেছেন কুলিয়ারচর সরকারী কলেজ পরিচালনা পর্ষদে। সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক সংগঠনের।
সব সময় চেষ্টা করেছেন গরীব, অসহায়, মানুষের পাশে থেকে প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কল্যাণে কিছু করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি চালু করেন কুলিয়ারচর বাজারে "অঙ্গীকার সংসদ" নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনে ব্যবস্থাপনায় প্রতি শুক্রবার উনার পিতা মরহুম আ. জলিল ভূইয়া ফ্রি ক্লিনিক থেকে অসুস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও বিনা মূল্যে ঔষধ বিতরণ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি অসহায় অসুস্থ মানুষকে এবং কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে আর্তিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন অকাতরে। যা বর্তমানেও চলমান আছে।
সৎ কর্তব্যপরায়ণ এবং আদর্শ ও নিষ্ঠাবান এই সমাজহিতৈষী জনকল্যাণে মহান লক্ষ্য নিয়ে মানুষের সেবা করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও পরম আপনজন। তিনি এলাকার যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতেন ফলে তিনি মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন। হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ থেকে একজন অসাধারণ মানুষ, আর এই অনেকেই তাঁকে ভালবেসে অনেকেই কোম্পানি সাহের নামে সম্ভোধন করতেন।
তিনি দেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যায় ও যে কোন দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন মানব কল্যাণে, যা ছিলো বিরল।
কীর্তিমান এই সমাজহিতৈষী গত ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলিয়ারচর বাসীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।