সিজার করলেন নার্স, নবজাতকের কপালে ৯ সেলাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১৫ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গাইনি ডাক্তার ছাড়াই সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলেছেন আয়া ও নার্স। কপালে ৯টি সেলাই নিয়ে শিশুটি এখন গুরুতর অসুস্থ। এই ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী রূপা বেগম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মন্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই মো. আমির ফয়সাল বলেন, শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে তার বোনকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গাইনি ডাক্তার আসার আগেই তার বোন রুপা বেগমকে আয়া ও নার্স মিলে সিজার করে। বাচ্চা বের করে আনার পর দেখা যায় তার কপালে ৯টি সেলাই ও বাচ্চাটি গুরুতর অসুস্থ।
তিনি বলেন, বিষয়টি তারা লুকানোর চেষ্টা করলেও প্রশাসনকে জানাই। পুলিশ এসে হাসপাতালের মালিক ও আয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শিশুটির ফুফা আসলাম খান বলেন, গরিব ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার নামে এ ধরনের হয়রানি বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তি চাই। রোগীদের চিকিৎসার নামে এ বেসরকারি হাসপাতালটি ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ নানা অনিয়ম নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম বলেন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালটি পরিদর্শন করি।
গাইনি ডাক্তার ছাড়াই গর্ভবতী মাকে সিজার করা ও বাচ্চাটির কপাল কেটে ফেলার অভিযোগে হাসপাতালের মালিক মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও কমর্রত আয়া চায়নাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়মসহ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রমূখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।