থানা বেষ্টনির মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার-৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ৭ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার বেষ্টনির মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগে একজন ও ৩ সহযোগীসহ ৪ জনকে আসামীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভিকটিমের মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানার ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের শয়ন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় (৩২)। অপর তিন আসামী বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০) ও সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নানকে (৪৯) ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলা থেকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। মাইজদীতে আসার পর তার টাকার সংকট দেখা দিলে নিজের পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করেন। এক পর্যায়ে কামরুল, আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম ট্রাফিক অফিসের পাশেই সুধারাম মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় কনষ্টেবল মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অপর তিন আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সকল আসামিকেই গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।