ডায়াবেটিস এড়াতে উপকারী খাবার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ৫ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তনগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে তার সংখ্যা অনেক। যেমন- বাড়তি চিনি থাকে এমন খাবার ত্যাগ করা, ফল ও সবজি বেশি খাওয়া, মানসিক চাপ কমানো, নিয়মিত শরীরচর্চা ইত্যাদি।
উদ্ভিজ্জ খাবার খাদ্যাভ্যাসে বেশি থাকাটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এর সপক্ষে ফলাফল সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
‘ডায়াবেটোলজিয়া’ শীর্ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় ‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ডায়াবেটিস’র গবেষকরা ১০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর ‘প্লাজমা মেটাবোলাইট প্রোফাইল’ নিয়ে কাজ করেছেন। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পদ্ধতি এটি।
দেখা যায়, যারা উদ্ভিজ্জ খাবার নিয়মিত খাচ্ছেন তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
পুষ্টিবিদ ও ‘দ্যা চুজ ইউ নাও ডায়েট অ্যান্ড প্ল্যান্ট বেইজড নিউট্রিশন (ইডিয়ট’স গাইড)’ বইয়ের রচয়িতা যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ জুলিয়েনা হিভার ‘ইট দিস’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসা পরিপূর্ণ খাবারগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এর সপক্ষে ক্রমবর্ধমান তথ্য ভান্ডারে চমৎকার কিছু নতুন তথ্য যোগ করে এই গবেষণা।”
যারা এমন খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন তাদের ‘প্লাজমা মেটাবোলাইট প্রোফাইল’ বলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমানোর সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক আছে। অনেক পুষ্টিবিদই বলেন উদ্ভিজ্জ খাবারের ক্ষেত্রে কোনোটাকেই স্বাস্থ্যকর কিংবা অস্বাস্থ্যকর তকমা দেয়া উচিত নয়।
একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকতে হয়, যা শরীরের যে বিস্তৃত ধরনের পুষ্টি প্রয়োজন তা পূরণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিনিক্স ভিগান ডায়েটিশিয়ান ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা রায়ান গেইগার একই প্রতিবেদনে বলেন, “যারা উদ্ভিজ্জ খাদ্যাভ্যাস শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ হল নিজেকে একই ধরনের খাবারে বেঁধে রাখবেন না। যে খাবারগুলোকে আমরা অস্বাস্থ্যকর মনে করি সেগুলো একেবারেই যদি বাদ দিয়ে দেয়া হয় তবে ওই খাবারগুলোর প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়তে থাকবে প্রতিদিন।”
তাই আদর্শ খাদ্যাভ্যাস হল স্বাস্থ্যকর আর অস্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবারের ভারসাম্য। খাবার থেকে পুষ্টি যেমন দরকার, তেমনি তৃপ্তি পাওয়াও জরুরি।