টিকটক নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আরও একটি বিল পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৪৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চীনা জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর, অথবা নিষিদ্ধের বিধান রেখে একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।
এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ‘‘হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’’-এ দ্বিতীয়বারের মতো চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াকে আইনে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।
এ সংক্রান্ত আলোচনায় অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হিসেবে দাবি করে আসছেন আইনপ্রণেতারা।
মার্কিন হাউজে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৬০-৫৮। এতে উল্লিখিত একটি শর্তে টিকটকের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সকে এক বছরের মধ্যে কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলা হবে। তবে, এর পরও ব্যবহারকারীদের জন্য অন্যান্য উৎস থেকে অ্যাপে প্রবেশ করার সুযোগ আগের মতোই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করছে চীন সরকার। আর এই কারণেই তরুণদে রমধ্যে টিকটকের জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই টিকটকের ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাইটড্যান্সের অ্যাপটি বিক্রি করে দেওয়ার যে কোনো ধরনের প্রচেষ্টা আটকে দিতে পারেন চীনা কর্মকর্তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আইনী নথিপত্র তার ডেস্কে পৌঁছালেই তিনি এতে স্বাক্ষর করে দেবেন।
“তারা আইনটি পাস করলেই আমি এতে স্বাক্ষর দেব,” মার্চে সংবাদকর্মীদেরকে বলেছিলেন তিনি। যেহেতু সিনেটে দুই দলের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের নেতারা এখন এর পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাচ্ছেন, তাই বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বাইডেন বিলটিকে আইনে পরিণত করার নথিতে স্বাক্ষর করলে কোম্পানিটির জন্য নতুন ক্রেতা খুঁজতে বা বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে ১২ মাসের সময় পাবে বাইটড্যান্স।
এদিকে, বিলটি পাস হলে কোম্পানি যে মামলা করবে, তা এক রকম নিশ্চিত। এর আগে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টাটি এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে।
টিকটক বরাবরই বলে আসছে, “তাদের কোম্পানি কখনও মার্কিন তথ্য শেয়ার করেনি এবং করবেও না।”
গত মাসে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করা একটি ভিডিও’তে টিকটকের সিইও শউ জি চিউ জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এ আইনের বিপক্ষে লড়ে যাবেন। এমনকি কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে প্ল্যাটফর্মে একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রচারণাও চালায় কোম্পানিটি, যেখানে এই আইনের বিপক্ষে স্থানীয় প্রতিনিধিদেরকে অভিযোগ করার আহ্বান জানানো হয় ব্যবহারকারীদের।
এক্স অ্যাপের মালিক ইলন মাস্ক অবশ্য টিকটক নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে লিখেছেন, “এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গেছে।
তিনি লিখেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। যদিও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এক্স প্ল্যাটফর্মকে উপকৃত করতে পারে।”
মাস্ক লিখেন, “এটা করা বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী হবে।”