কলড্রপ নিয়ে কাল থেকে অ্যাকশন : পলক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ৩০ জুন,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মোবাইলে কথা বলার সময় কল কেটে গেলে অর্থাৎ কলড্রপ হলে আগামীকাল থেকে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কলড্রপ হলে কোনো মোবাইল অপারেটরকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সভায় মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন পলক।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা।
পলক আরও বলেন, কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট, তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ খুব একটা সন্তোষজনক নয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না।
কলড্রপে গ্রাহকের ক্ষতিপূরণে কঠোর হওয়া হবে উল্লেখ করে পলক বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করবো। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব যাতে নদীটা পার হতে পারেন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন।
এক্ষেত্রে অপারেটরদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাওয়ার স্থাপনে সহায়তার আশ্বাস দেন পলক। পাশাপশি খরচ কমাতে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ, স্থাপনা নির্মাণের মতো সরকার প্রদত্ত সুবিধা নেওয়ার জন্য অপারেটরগুলোকে পরামর্শও দেন তিনি।