হার্ট অ্যাটাক থেকে রোগীর প্রাণ বাঁচালো টেসলা গাড়ি!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:২০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
টেসলা সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তি প্রাণ বাঁচাল এক রোগীর। রক্তে সুগার লেভেল ৬৭০-এ পৌঁছে গিয়েছিল ওই রোগীর। হতে পারত হার্ট অ্যাটাক। সেই জায়গা থেকে প্রাণ বাঁচাল টেসলার গাড়ি। এ খবর টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক নিজেই জানিয়েছেন।
অনেকেই অভিযোগ করেন প্রযুক্তির দাপাদাপি বাড়লে মানুষেরই ক্ষতি। কিন্তু, সেই অভিযোগ এদিন ভুল প্রমাণ করল টেসলা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়িতে সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তি চালু করেছে। আর সেই প্রযুক্তি প্রাণ বাঁচাল এক ব্যক্তির। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইলন মাস্ক। কী ঘটেছে আসুন বিশদে জানা যাক।
ম্যাক্স পল ফ্র্যাঙ্কলিন নামের এক ব্যক্তি এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে জানান, ১ এপ্রিল টেসলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুল সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তি চালু করে। রাত দুইটা নাগাদ হাইড্রেটেড অনুভব করি আমি এবং ইনসুলিনে কিছু ত্রুটির কারণে আমার গ্লুকোজ স্তর ৬৭০-এ পৌঁছে যায়।
ম্যাক্স পল আরও লিখেছেন, কোনও সময় নষ্ট না করে আমি সাহায্যের জন্য টেসলা ওয়াই মডেল গাড়ি চালু করি। তারপর স্টিয়ারিং হুইলে দুই বার ট্যাপ করে সেলফ ড্রাইভিং চালু করি। তার ফলাফল দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। প্রায় ১৩ মাইল ভ্রমণ করে আমাকে নিকটবর্তী ইমার্জেন্সি রুমে নিয়ে যায় গাড়িটি। কোনও সমস্যা ছাড়াই দ্রুত পৌঁছে গিয়েছিলাম সেখানে। যার কারণে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নিতে পারি।
তিনি লিখেছেন, হালকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও, আমি আমার ব্যায়ামের কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। আমি মার্সিডিজ, বিএমডাব্লিউ, অডি এবং পোর্শের মতো গাড়ির মালিক। তবে বলব, অটোমোটিভ উদ্ভাবনে টেসলা আজ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সংকটময় মুহূর্তে জীবন রক্ষা করতে পারে এই গাড়ি।
ম্যাক্স পলের এই পোস্টে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন ইলন মাস্ক, আমরা খুশি যে টেসলার সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তি আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছে।
ইউরোপ ও আমেরিকায় ইতিমধ্যে সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তির গাড়ি ব্যবহার শুরু হয়েছে। সেই দৌড়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে টেসলা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্টিয়ারিং হুইলে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না চালকের। গন্তব্য বলে দিলেই ম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট গতিতে ছুটতে শুরু করবে গাড়ি।
ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে এই গতি কমানো বাড়ানো যেমন যাবে। তেমন গন্তব্যের দিক-নির্দেশও বদলানো যাবে। পাশাপাশি কোন এলাকায় ট্রাফিক রয়েছে তাও শনাক্ত করতে পারে এই সেলফ ড্রাইভিং প্রযুক্তি।