বিশ্বের প্রথম ওয়াটার ব্যাটারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিশ্বব্যাপী পুনর্ব্যবহারযোগ্য নানা ধরনের ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা চলছে। গতানুগতিক প্রযুক্তির বদলে ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ধরনের ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন একদল বিজ্ঞানী, যাকে ওয়াটার ব্যাটারি বলা হচ্ছে। এই ব্যাটারিতে আগুন ধরবে না। এমনকি বিস্ফোরিতও হবে না। বিজ্ঞানীরা জৈব ইলেকট্রোলাইট প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি পানি ব্যবহার করে ব্যাটারিটির টার্মিনালের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করেছেন। নতুন এ ব্যাটারিকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই ব্যাটারি আবিষ্কার করেছেন। লিথিয়াম-আয়ন শক্তির ব্যাটারি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী তিয়ানই মা বলেন, ‘আমাদের ওয়াটার ব্যাটারি জলীয় শক্তি স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে কাজ করছে। ব্যাটারি প্রযুক্তির কর্মক্ষমতা ও জীবনকালকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে এই ব্যাটারি। আমাদের তৈরি ব্যাটারিটি মূলত জলীয় ধাতুনির্ভর আয়ন ব্যাটারি। আর তাই এই ব্যাটারিকে ওয়াটার ব্যাটারি বলতে পারি আমরা। এসব ব্যাটারিতে জৈব ইলেকট্রোলাইট প্রতিস্থাপন করতে পানি ব্যবহার করা হয়েছে।
ওয়াটার ব্যাটারি নিয়ে অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালসে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানী তিয়ানই মা বলেন, ‘আমরা ম্যাগনেসিয়াম ও জিংকের মতো উপাদান ব্যবহার করি, যা প্রকৃতিতে প্রচুর পাওয়া যায়। এসবের ব্যবহার পরিবেশের ঝুঁকি কমায়। আমাদের ব্যাটারি এখন বেশ দীর্ঘস্থায়ী উপায়ে ব্যবহার করা যাচ্ছে। নতুন এই ব্যাটারি বাজারে পাওয়া বাণিজ্যিক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো সমান ক্ষমতার। এ ব্যাটারি সফলভাবে সৌর প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। আমরা এখন নতুন ন্যানো উপকরণ ব্যবহার করে ওয়াটার ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব বৃদ্ধি করার কাজ করছি।’
নতুন ব্যাটারি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার জন্য শিগগিরই কাজ করবে সিডনিনির্ভর প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গ্রাফিনএক্স। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০৩১ সালে ওয়াটার ব্যাটারির বাজার হবে ৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। নিরাপত্তা ও পরিবেশগত কারণে ওয়াটার ব্যাটারির প্রয়োজন আরও বাড়বে।