আবারো আকাশে উড়ল আশিরের বিমান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রায় এক বছর পরে আবারো বাঁশখালীর আকাশে উড়ল খুদে বিজ্ঞানী আশিরের নিজ হাতে তৈরি বিমান। তবে এবার ড্রোন জাতীয় নয় বিশালাকারের ৭ ফুট লম্বা ১৫ কেজি ওজনের বিমানের সাথে আরো ২০ কেজি পাথর নিয়ে ৩৫ কেজি ওজন নিয়ে আকাশে উড়ল আশিরের বিমান।
গত বছর আশিরের উদ্ভাবিত নিজের হাতে তৈরি ছোট বিমান, যুদ্ধবিমান হেলিকপ্টার ও ড্রোন আকাশে উড়ার খবর প্রকাশিত হয়। ওই সময়ে আশিরের তৈরি করা স্পিডবোট পানিতে ভাসার খবরও ফলাও করে প্রচার হয়। তার এই সফলতার গল্প তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইউটিউবে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায়, যা ছিল একেবারে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও শুধুমাত্র মনের জোরে বাঁশখালী উপকূলের সন্তান খুদে বিজ্ঞানী আশিরের এ সফলতা এখন ঈর্ষণীয় সফলতার শীর্ষে। বাঁশখালী উপকূলীয় পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের পাড়ার ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিনের বড় ছেলে মো: আশির বয়স এখন মাত্র ২২।
২০১৮ সালে শুধুমাত্র নিজের মনের জোরে প্রথম তৈরি করেন খুদে বিমান। এরপর থেকে নেই আশির গবেষণা একের পর এক তৈরি করে চলেছেন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও হাই স্পিডের স্পিডবোট।
পরে এ খরব ভাইরাল হয়ে পড়লে তার ডাক আসে বঙ্গবন্ধু সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে। সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরিও হয় গবেষণাগারে। আশির এখন ওখানে চাকরি করছেন জানিয়ে গতকাল বুধবার বলেন, প্রায় লাখ টাকা খরচ করে তিনি আমেরিকার তৈরি করা বিমানের আদলে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যরে বিমান তৈরি করেন সেখানে উন্নত প্রযুক্তির লিথিয়াম ব্যাটারি স্থাপন করছেন। যার মাধ্যমে প্রোপেলারের শক্তিশালী মোটর ঘোরাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৫ কেজি ওজনের তৈরি করা বিমানটি জলস্থল উভয় স্থান থেকে উড্ডয়ন করা যায়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওই বিমানটি তৈরি করেন। ওই ওজনের আরো ২০ কেজি পাথর নিয়ে বিমানটি উড়তে পারবে একাধারে ৮০ মিনিট।
আশির ২০১৫ সালে পুঁইছড়ি ইজ্জতিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি ও ২০১৭ সালে মাস্টার নজির আহমদ ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আশির জানিয়েছেন, তার ছোট গবেষণাগার রয়েছে। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ডিজাইনের বিমান বোয়িং হেলিকপ্টার স্পিডবোট তৈরি করেন এবং নিজের কন্ট্রোলে তিনি তা আকাশে উড়ান। তাকে প্রশ্ন করা হয় বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়ে কিভাবে তিনি এসব তৈরি করেন, তখন তিনি জানান মনের জোরে তিনি এসব তৈরি করেন।
তিনি জানান, তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র না হওয়ায় এইচএসসি পাস করে সার্টিফিকেটের জন্য চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে একটি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে আশিরের মন খুব একটা ভালো নেই জানিয়ে বলেন, তাকে বাঁশখালীতে একটি মারামারি মামলার আসামি করা হয়েছে। এখন তিনি জামিনে আছেন। তিনি জানান, গ্রামের বাড়িতে তাদের অনেক দুশমন আছে যারা আশিরের এই সফলতায় নাখোশ।