বগুড়ায় এক হাজার ৬৮৭টি মাঠে ঈদ-উল আযহা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ৭ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ায় এক হাজার ৬৮৭টি মাঠে ঈদ-উল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বগুড়ায় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশ। ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা ও জাল টাকার অপব্যবহার রোধ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় এবার এক হাজার ৬৮৭টি মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৮টি। ঈদ জামাতকেন্দ্রীক তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি জামাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ টিম মোতায়েন করা হবে। জামাতে কাউকে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়া জেলাজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে থানা, টহল ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। ছুটিতে প্রতিটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ টহল দেবে। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন বিপণিবিতানেও এবার থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারি। এক্ষেত্রে বিপণিবিতানগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সেসব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতে বাড়ানো হবে পুলিশি টহল।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে তাদের চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া যানজট নিরসণে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে যে সকল সড়কে খানা-খন্দক ছিল তা পুলিশের উদ্যোগে মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে বসা পশুরহাটে অজ্ঞানপার্টি, জাল টাকাসহ নানা ধরনের অপরাধ রোধে কাজ করছে পুলিশ। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। এছাড়া যে সকল গরু ব্যবসায়ীরা হাটে পশু নিয়ে আসছেন তাদের নাম ঠিকানা লিখে রাখা হচ্ছে যাতে তারা কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা চুরি, ডাকাতির প্রস্ততি নেয়। তবে এ বিষয়টি মাথায় নিয়ে গ্রাম পুলিশ, বিট পুলিশিংসহ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের সবাইকে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেনি। আমরা চাই সবার ঈদ কাটুক সুখে শান্তিতে ও আনন্দে।