যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানিতে তুরস্কের নজরকাড়া সাফল্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ৯ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বৈশ্বিক সামরিক শিল্পের বাজারে দিনে দিনে বাড়ছে তুরস্কের আধিপত্য। গেল দশকেও প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের বাজারে একাধিপত্য ছিল পশ্চিমা বিশ্বের। এর বাইরে রাশিয়া ও চীন থেকে স্বল্পমূল্যে যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ করত বিভিন্ন দেশ। তবে এখন সে দৃশ্য পাল্টেছে।
ক্রমেই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সমর সরঞ্জামের জন্য বাড়ছে তুরস্কে খ্যাতি। বিশেষ করে স্বল্পমূল্যে ধ্বংসাত্মক ড্রোন, স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাশ্রয়ী ট্যাংক ও যুদ্ধজাহাজের জন্য বাড়ছে তুরস্কের চাহিদা। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সমরাস্ত্র রপ্তানিতে তুরস্কের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা ।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল বছরের প্রথমার্ধ থেকে চলতি বছরের প্রথমার্ধে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও অ্যারোস্পেস কোম্পানিগুলোর রফতানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। প্রতিরক্ষা শিল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে এমন তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
জুন মাসে তুর্কি প্রতিরক্ষা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশটির মোট রপ্তানির মাত্র ৩ শতাংশ। তুর্কি প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান হুলুক গুরগুন এমন তথ্য জানান। গেল মাসে তুরস্কের মোট রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময় তুরস্কের রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার।
তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রধান জানান, গেল বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে তুরস্কের রপ্তানি বেড়েছে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময়ে দেশটির মোট নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি জানান, রপ্তানি কৌশলের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে তুরস্কের উচ্চমূল্যের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ স্থায়ীভাবে বাড়িয়ে তোলা।
বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ১৮৫ দেশের সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে তুরস্কের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র। গেল দুই দশকে তুরস্কের প্রতিরক্ষাসামগ্রী রপ্তানি স্থির ও শান্তভাবে বেড়ে চলছে। গেল বছর দেশটির মোট প্রতিরক্ষা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দশক আগে ২০০২ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দশক পর ২০২২ সালে এটি দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।