২২ বছর বয়সেই সংসদ সদস্য!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ৮ জুলাই,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:১৩ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বয়স মাত্র ২২ বছর, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির স্নাতক। যুক্তরাজ্যের এবারের সাধারণ নির্বাচনে নর্থ ওয়েস্ট ক্যামব্রিজশায়ার থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
আর স্যাম কার্লিং নামের এই তরুণই হারিয়ে দিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য শৈলেশ ভারাকে। মাত্র ৩৯ ভোটের ব্যবধানে স্যাম তাকে পরাস্ত করেন। খবর বিবিসির।
তিনি এখন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ‘সর্বকনিষ্ঠ’ সদস্য। তাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘বেবি অব দ্য হাউজ’ তকমা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বয়স নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে কথা হোক, সেটা মোটেও চান না স্যাম।
নির্বাচনে অবিশ্বাস্য এই জয়ের পর স্যাম তার এ বিজয়কে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আশা করেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার দায়িত্বে আরও বেশি সংখ্যক তরুণ এগিয়ে আসবেন। তারপর তারা পার্লামেন্ট এবং লোকাল কাউন্সিলে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব দেখতে পাবে। এটা (রাজনৈতিক) অনীহা মোকাবেলায় সহায়তা করবে।
এর আগে ‘বেবি অব দ্য হাউজ’ ছিলেন লেবার পার্টিরই কিয়ার ম্যাথার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কিয়ার ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে সেলবি অ্যান্ড এনস্টি আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন।
স্যাম কার্লিং ক্যামব্রিজ শহরের কাউন্সিলর ছিলেন। স্যাম বলেন, তাকে এমপি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি যখন ভোটারদের দোরগোড়ায় গিয়েছিলেন, তারা খুবই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘এটা ভালো, আমাদের আরও বেশি সংখ্যক তরুণ দরকার’। অনলাইনে অল্পবয়সীদের নিয়ে অনেক কটূ কথা হয়, তবে সামনাসামনি পেলে মানুষ সাধারণত রোমাঞ্চিত হয়।
তবে বয়সের দিকে মানুষের নজর থাকুক, এমনটা চান না স্যাম। বরং বয়স যাই হোক না কেন, তিনি তার জায়গা থেকে জনগণের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যেতে চান।
স্যাম বলেন, আমি চাই আমরা বয়সের দিকে অদ্ভুতভাবে মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করি। আমরা অন্য কারোর মতোই। আমি শুধু আমার কাজটি করতে চাই।
ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের একটি গ্রামীণ শহরে বেড়ে উঠেছেন স্যাম, যে এলাকাকে তিনি অত্যন্ত সুবিধাবঞ্চিত এলাকা মনে করেন।
তিনি বলেন, আমি আমার চারপাশে অনেক কিছু খারাপ হতে দেখেছি। আমি আমাদের স্থানীয় উঁচু রাস্তায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, যেগুলো আগে জমজমাট ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো পতিত জমির মতো দেখাচ্ছে।
সর্বকনিষ্ঠ এই এমপি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। নতুন লেবার সরকারকে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।